কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো? How to make Video.
এছাড়াও আরো অনেকে আছেন যারা
বিভিন্ন কোয়ালিটির এবং ক্যাটাগরির ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
উদাহারন
হিসেবে বলা যায়ঃ টিউটরিয়াল চ্যানেল রাজন সামি
কিংবা তানভির একাডেমি Youtube Channel এর নাম।
অবশ্যই
পড়ুনঃ 2.
ইউটিউব
ভিডিও দেখুন বিজ্ঞাপন ছাড়া 3.
নতুন
সাইট কিভাবে এস.ই.ও করবেন? |
কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবা? বিস্তারিত দেখুন
আশা
করি শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন। যেহেতু বিস্তারিত আলোচনা হবে তাই কন্টেন্টটি বড় হতে পারে।
শেষ পর্যন্ত পাশে থাকলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
আমরা
এই কন্টেন্টকে কয়েকটি টপিকে বিভক্ত করেছি। এগুলো হলোঃ
- কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাব
- ইউটিউব ভিডিও দেখুন আইডিয়া নিন
- ইউটিউব
ভিডিও তৈরির সফ্টওয়্যার এবং যন্ত্রপাতি
তো প্রথমে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো। আগেই বলেছি যে, ইউটিউব (Youtube) থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সহজ। এর জন্য একটু কষ্ট করতে হয়। এছাড়াও যেহেতু এখন ইউটিউবারদের (Youtuber) সংখ্যা দিন দিন বেরেয় চলেছে তাই আপনার কম্পিটিটর এর সংখ্যাও বেশি।
(আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, গেমিং চ্যানেলগুলোর অনেক ভিউ এবং সাবস্ক্রাবার আছে। এদের তেমন কোন কাজ নেই। শুধু গেমিং ভিডিও (Youtube Gaming) বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়।)
তেমনি
ভাবে আপনি যেই সকল কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও বানান সেই প্রকার ভিডিও ইউটিউবে আগে থেকেই প্রকাশ
করা আছে। তাই আরো ক্রিয়েটিভ এবং কম্পিটিটর থেকে ভালো কিছু বানানোর চেষ্টা করবেন।
১. ইউনিক এবং ভালো মানের কন্টেনন্ট
এইটা
ঠিক যে, ইউটিউবে ইউনিক কন্টেন্ট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউনিক
আছে। আপনি যে কোন টপিকে ইউটিউব ভিডিও দেখুন
সেই রিলেটেড আরো ভিডিও আপনার সাজেষ্ট এ আসবে। তাহলে এখানে ইউনিক কোনগুলো? ইউটিউব
ভিডিও এর ক্ষেত্রে এর বিকল্প ব্যাবস্থাও আছে। এখন কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন ইউনিক ভাবে সেই বিষয়ের উপর কিছু আলোচনা করবোঃ
- ভিডিওতে তথ্য রাখুনঃ যেহেতু আপনার ভিডিও গুলো একদম ইউনিক হবে না তাই আপনাকেআপনার ভিডিও ইউনিক মানের করতে হলে আপনার ভিডিওকে বেশি তথ্যবহুল করতে হবে। আপনার কম্পিটিটর এর ভিডিও দেখুন। তার থেকে আইডিয়া নিন কিভাবে তার ভিডিওতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনার কম্পিটিটরদের থেকে আপনাকে বেশি পরিমানের তথ্য ভিডিও রাখতে হবে। (Informative Video)
বেশি তথ্যবহুল করতে গিয়ে কোন ভুল তথ্য রাখবেন না এবং এমন কোন ধরনের ভিডিও বানাবেন না যাতে করে অডিয়েন্স বিরক্ত হয়ে যায়।
- নিজের জ্ঞান থেকে উপস্থাপন করুনঃ আপনি যেই সম্পর্কে ভিডিও বানাবেন সেইটাকে
ইউনিক করার জন্য আপনার জ্ঞান থেকে লিখুন। আপনার বিষয়টির উপর যতটুকো জ্ঞান আছে ততটুকোই
লিখুন। ধরুন আপনি এস.ই.ও (SEO) এর উপর ভিডিও বানাবেন। এখন আপনি এস.ই.ও (SEO) এর উপর যতটুকো রিসার্চ
করেছেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছেন তার উপর থেকে লিখুন। এতে করে আপনি যেমন সঠিক তথ্য উপস্থাপন
করবেন তেমনি একটি ইউনিক কন্টেন্ট ও বানাতে পারবেন।
এর পরে আপনার ভিডিওকে কোয়ালিটি সম্পূর্ন করতে হবে। কোয়ালিটি বলতে শুধু
ভালো রেজুলেশনের ভিডিওকে বোঝায় না। কোয়ালিটি বলতে ভিডিও রেজুলেশন থেকে শুরু করে সাউন্ড,
মিক্সিং, এডিটিং, কালার গ্রেডিং ইত্যাদী সব বিষয়গুলোর উপর ধারনা থাকা লাগবে। |
কিছুক্ষন
পরেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
যত ভালো মানের ভিডিও বানাবেন তত তারাতারিই সাবস্ক্রাইবার বাড়বে এবং আপনি খুব তারাতারি সফলতা পাবেন।
২. কন্টেন্ট এর সম্পর্কে রিচার্স করে নেওয়াঃ
ইউটিউব
ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে কোন কন্টেন্ট তৈরি করার আগে রিসার্চ (SEO) করে নিবেন। যেমন ধরুন আমি
ইউটিউব ভিডিও বানানোর আগে আমার সেই সম্পর্কে কোন ধারনাই না থাকে তাহলে পরিনাম কি হবে?
ভিডিও যখন বানানো শুরু করবো তখন কিছুক্ষন পর পরই বাধাগ্রস্থ হবো। অথবা একটু পর ভিডিও
বানানো বন্ধ করে দিবো।
এমন
পরিস্থিতিতে পড়লে আপনার ভিডিও বানানোর আগ্রহ হারিয়ে যাবে। আবার আপনি তখন ভাবতে পারেন
যে, আপনার পক্ষে ইউটিউব ভিডিও বানানো সম্ভব
না।
কিন্তু
না আপনি চাইলেই পারবেন।
এই ক্ষেত্রে আপনি একটি ভিডিও বানানোর আগে সম্পূর্ণ বিষয়টি রিসার্চ (SEO) করে দেখতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি ‘ব্লগিং এর ইনকাম’ নিয়ে একটি ভিডিও বানাবেন। এখন আপনাকে যেই কাজগুলো করতে হবে নিচে দেখানো হলোঃ
- ইউটিউব ভিডিও দেখুনঃ আপনি আগে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ কররুন এবং সেই সম্পর্কে ইউটিউব ভিডিও দেখুন। সার্চ দেওয়ার পরে সর্ব প্রথম যেই ভিডিওটি আসবে সেই ভিডিওটা ওপেন করুন। সেই ভিডিওর প্রতিটি বিষয় লক্ষ করবো। যেমন তার ভিডিওর লেন্থ, কোয়ালিটি, এডিটিং ইত্যাদী। এই বিষয়গুলো নোট করুন।
- এস.ই.ও করুনঃ ভিডিও শুধু বানালেই হবে না। নিয়মিত এস.ই.ও (SEO Your Youtube Video) করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন। ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে এস.ই.ও করতে যা যা লাগবে আপনি সেইগুলো জানার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন।
- কন্টেন্ট এর ক্যাটাগরিঃ কন্টেন্ট এর ক্যাটাগরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ক্ষেত্রে আপনি যেই বিষয়ে পারদর্শী শুধু মাত্র সেই বিষয়ের বা ক্যাটাগরির উপরে ইউটিউব ভিডিও বানান। এর ফলে আপনি কাজে আনন্দ পাবেন। এমন কোন বিষয় উপস্থাপন করবেন না যা আপনার জ্ঞানের বাইরে। এতে করে আপনি সঠিক বিষয়টি জানাতে ব্যার্থ হবেন এবং আপনার অডিয়েন্সও বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে এর জন্য।
- কন্টেন্ট এর চাহিদাঃ এমন কন্টেন্ট বানাবেন যার মধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের চাহিদা থাকে। কারন আপনি যদি এমন কোন কন্টেন্ট সিলেক্ট করে থাকেন যাতে চাহিদা কম, তাহলে আপনার চ্যানেল গ্রো হতে অনেক দেরি হবে।
“এর পরের কন্টেন্ট এ কোন কোন কন্টেন্ট এ চাহিদা
আছে এবং যা নিয়ে একজন নতুন ইউটিউবার সাফল্য পেতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
অবশ্যই ভিডিও বানানোর
আগে রিসার্চ করে নিবেন। যেমন এসইও করবেন, কন্টেন্ট এর চাহিদা দেখবেন ক্যাটাগরির দিকে
খেয়াল রাখবেন এবং কন্টেন্ট এর লেন্থ ইত্যাদী সব কিছু আগে থেকে ঠিক করে নিয়ে ইউটিউব
ভিডিও বানাবেন। |
৩.
স্ক্রিপ্ট লিখে রাখা - (Video Script)
অবশ্যই
এই পক্রিয়াটি ব্যাবহার করবেন। যখন কোন ভিডিও বানাতে যাবেন তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে
এই কাজটা করবেন। যদি আগে থেকে স্ক্রিপ্ট লিখে (Video Scripting) রাখেন তাহলে সেটা দেখে দেখে সুন্দর ভাবে
ভিডিও বানাতে পারবেন।
আপনার
কম্পিটিটরের ইউটিউব ভিডিও দেখুন । দেখবেন যেই ভিডিও গুলো টপ এ আছে সেই গুলো প্রথম থেকে
খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছে। পার্ট বাই পার্ট এবং সুক্ষভাবে উপস্থাপন করছে। এইগুলোর
জন্য অনেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। আবার অনেকে স্ক্রিপ্ট লিখে রাখে।
অনেকে
আছেন কন্টেন্ট মুখস্ত করে রাখেন। এই প্রক্রিয়াই আপনি যদি অভ্যস্ত না হোন তাহলে এইটা
করার দরকার নেই।
আরওপড়ুনঃ 1.
কিভাবে
ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করবেন? 2.
ইউটিউব
ভিডিও দেখুন বিজ্ঞাপন ছাড়া 3.
ফেইসবুক
গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম 7. ওয়েব সাইট কেন গুগলে র্যাঙ্ক করে না? |
স্ক্রিপ্ট
লিখে রাখলে যারা স্ক্রিন রেকর্ড ভিডিও অর্থাৎ টিউটোরিয়াল ক্যাটাগরির ভিডিও বানাতে চান
তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব ভিডিও বানানোর
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কিন্তু কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানানোর স্ক্রিপ্ট লিখবেন? আসুন নিচে এর কিছুটা ব্যাখ্যা করিঃ
- সূচনা রাখুনঃ স্ক্রীপ্ট এর প্রথমেই একটি সূচনা রাখুন। যাতে করে অডিয়েন্স বুঝতে পারে আপনি কি নিয়ে আলোচনা করবেন। অথবা আপনি যদি কোন টিউটোরিয়াল ভিডিও বানান তাহলে আপনার এই আলোচনা থেকে অডিয়েন্স ধারনা করে নিতে পারবে যে, আপনি কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এতে করে অডিয়েন্স ভিডিও শুরু করেই বিরক্ত হয়ে পরবে না।
- পয়েন্ট আকারে আলোচনা করুনঃ আলোচনার মূল বিয়ষ শুরু করার সময় প্রত্যেকটা বিষয় পয়েন্ট আকারে লিখুন। এতে করে অডিয়েন্স এর বুঝতে সুবিধে হবে। যেমন আপনি ফটোশপের টুলস নিয়ে আলোচনা করছেন, তাহলে টুলসের নাম এবং অবস্থান সম্পর্কে ধারনা দিয়ে তার পরে এর কাজ সম্পর্কে আলোচনা করুন।
এতে করে আপনার অডিয়েন্সরা আপনার কন্টেন্ট বুঝতে পারবে এবং এব পর্যায়ে আপরার ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে।
- শেষ কথা রাখুনঃ শেষ কথা অর্থাৎ স্ক্রিপ্ট লিখার শেষ পর্যায়ে আপনার ভিডিওর জন্য একটি উপসংহার লিখুন। এই পয়েন্টে আপনি আপনার চ্যানেলের কিছু কথা বলবেন। এই অংশে যেই বিষয়টা লিখবেন তার উপর একটা ধারনা আমি নিচের বক্সে লিখে দিচ্ছিঃ
আজকে এই পর্যন্তই। আশা করি আমার ভিডিও আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি
ভালো লাগে অবশ্যই লাইক দিবেন। কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন, অন্যদেরকে দেখার সুযোগ
দিতে ভিডিওটি শেয়ার করতে পারেন এবং আমার পরবর্তী ভিডিও দেখার জন্য আমার চ্যানেলকে
সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। |
এইটা
একটা ডেমো মাত্র। যারা ভিডিও তৈরি করেন তাদের নিজস্ব একটা স্টাইল থাকে। আপনি নিজে নিজে
একটা ইউনিক স্টাইল বানাতে পারবেন। এর ফলে পরবর্তীতে আপনার চ্যানেলকে একটি ব্র্যান্ড
বানাতে সাহায্য করবে।
৪. উপযোগি পরিবেশ তৈরি করা।
Youtube - ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ অবশ্যই দরকার হবে।
আপনার
যদি এমন কোন পরিবেশে আপনার ভিডিও তৈরি করেন যেখান থেকে প্রচুর আওয়াজ আসছে, অথবা মাঝে
মাঝে আওয়াজ আসছে এখান থেকে ভিডিও করলে আপনার ভিডিওর সাউন্ড কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যেতে
পারে।
আবার
এমন এক জায়গায় বসে ভিডিও করছেন যেখান থেকে আপনার ভিডিওর সাথে খাপ খাচ্ছে না। সেই ক্ষেত্রে
ভিডিওর কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যাবে।
এখন
এই পরিবেশ কিভাবে পাবেন? আসুন সেই বিষয়ে একটু আলোচনা করি।
কিভাবে ইউটিউব ভিডিও
বানাবেন উপযোগি পরিবেশে?
এইটা নির্ধারণ করবে আপনি কি ধরনের ভিডিও বানান? ধরুন আপনি মুভি, নাটক, সিনেমা বা কমেডি টাইপের কোন ভিডিও বানাচ্ছেন। এর জন্য আপনার খোলা যায়গা লাগবে।তো সেই ক্ষেত্রে আপনিই ভালো বুঝবেন আপনার কেমন জায়গা লাগবে। নিচে কিছু উদাহরন দিলামঃ
- আগে থেকে জায়গা ঠিক করে রাখুনঃ যেহেতু এই কাজগুলোর জন্য অনেক লোকজন প্রয়োজন হয় সেহেতু আপনার উচিৎ হবে এই রকম ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে আগে থেকে সব ঠিক করে রাখনু।
- উপযুক্ত স্থানঃ আপনার ভিডিও শুটিং এর উপযুক্ত আলো এবং পরিবেশ আছে এমন স্থান নির্বাচন করুন। আগে থেকেই শুধু জায়গা ঠিক করে রাখলেন সেটা আপনার শুটিং এর জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
আপনার
কন্টেন্ট যদি সিনেমাটোগ্রাফ রিলেটেড হয় তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইউটিউব ভিডিও দেখুন। |
আবার
আপনার ইউটিউব (Youtube) ভিডিও যদি হয় টিউটোরিয়াল বা স্ক্রিনরেকর্ড ভিডিও তাহলে আপনার ভিডিওর জন্য একটি ঘরের প্রয়োজন। ঘরের
মধ্যে যেন কোন আওয়াজ (ইকো) না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। নিচে কিছু উদাহরন দিচ্ছিঃ
· ঘর নির্বাচনঃ আপনার কম্পিউটারটি যেই ঘরে আছে সেই
ঘরটি নির্বাচন করতে পারেন। যেই ঘরে আপনার পরিবারের অন্য কোন কাজ খুব কম থাকে সেইটাকেও
নির্বাচন করতে পারেন। অথবা যদি সম্ভব হয় রাতের বেলায় করতে পারেন যখন সবাই ঘুমিয়ে যায়।
· সাউন্ড কোয়ালিটিঃ সাউন্ড কোয়ালিটির জন্য অবশ্যই একটি
মাইক্রোফন ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন। কম দামের মধ্যে অনেক ভালো মাইক্রফোন ব্যাবহার
করতে পারেন। একটু পরেই সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।
যেই রুমে ভিডিও বানাবেন সেই রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে করে বাইরের কোন আওয়াজ আসবে না।
· রাতের বেলায় ভিডিও করতে পারেনঃ রাতের বেলায় এমনিতেই সব নিস্তব্ধ থাকে।
আপনি চাইলে স্ক্রিন রেকর্ড ভিডিও/ টিউটোরিয়াল টাইপের ভিডিও করার ক্ষেত্রে রাতের বেলায়া
সাউন্ডের দিক খেয়াল রেখে ভিডিও করতে পারেন।
তবে এই প্রক্রিয়াটা হলো লো বাজেটে যারা
ইউটিউবিং শুরু করতে চান তাদের জন্য। লো বাজেটে ইউটিউবিং শুরু করলে এই সমস্ত ইউটিবিং ট্রিক্স আপনার জানার দরকার।
আপনি
যদি লো বাজেটে ইউটিউবিং শুরু করতে চান তাহলে এই সম্পর্কিত ইউটিউব ভিডিও দেখুন। এর ফলে লো-বাজেটে ইউটিউবিং শুরু করার অনেক আইডিয়া
পেয়ে যাবেন। |
৫.
লজ্জা না পাওয়া
এটা
একটি অতিসাধারন বিষয় তবুও এইটা মাথায় রাখা প্রয়োজন। আপনি হয়তো বলতে পারেন ভিডিও বানাতে
লজ্জা পেলে আর কি ”কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো” (How to make Youtube Video) সেইটা জিজ্ঞাসা করতাম?
এখন
কথা হলো অনেকে আছেন যার ক্যামেরার সামনে লজ্জা পান। যার ফলে ভিউসরা একটু বিরক্ত হয়।
আপনি নিজেই যদি ইউটিউবে এমন কোন ভিডিও দেখে থাকেন,
তাহলে
অবশ্যই এই বিষয়টি লক্ষ করে থাকবেন।
ক্যামেরার
সামনে লজ্জা পাওয়ার পরে কি হয়?? আপানার ইউটিউব ভিডিওটা নষ্ট হয়ে যাই। লজ্জার কারনে কোন বিষয়টি উপস্থাপন করলে সেই বিষয়
বোঝতে অনেক কষ্ট হয়। যার ফলে আপনার ভিউসরা বিরক্ত হয়ে যাবে।
আর
ভিসিটর বিরক্ত হলে তো আপনার চলবে না । কারন। ভিসিটর যদি বিরক্ত হয়ে যান তাহলে আপনার
অনেকটা ক্ষতি হবে। আপনার ভিডিও যখন একজন ক্লিক করে কিছুক্ষন পর বেরিয়ে যাবে তখন আপনার
ভিডিওর র্যঙ্কিং নষ্ট হয়ে যাবে।
এছাড়াও একটি ভিডিওর ভয়েস, এডিটিং, খারাপ কোয়ালিটি ইত্যাদীর জন্য অডিয়েন্স
বিরক্ত হতে পারে। এই সমস্ত কারনে আপনার চ্যানেলের র্যাঙ্কিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এগুলো নিয়েও আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। |
এতক্ষন
আলোচনা করলাম কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো
(Youtube Video make) তার বেসিক কিছু বিষয়। এইগুলো একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে আপনাকে
অনুসরণ করতে হবে।
ইউটিউব ভিডিও দেখুন আইডিয়া নিন
এখন
আলোচনা করবো ইউটিউব ভিডিও দেখুন আর আইডিয়া
নিন। আপনি এখন বলতে পারেন আমি তো ভাই ইউনিক ভিডিও বানাবো তো ”ইউটিউব ভিডিও দেখুন আর আইডিয়া নিন” এই কথাটি বলছি কেনো?
আমি
ইউটিউব ভিডিও দেখে কপি করতে বলছি না। একজন
ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে আপনাকে অনেক ধরনের
আইডিয়া নিতে হবে। এই আইডিয়া বলতে ভয়েস নেওয়া থেকে শুরু করে ভিডিও কোয়ালিটি পর্যন্ত
বোঝানো হয়েছে।
কিভাবে
ইউটিউব ভিডিও দেখে আইডিয়া নিবেন? এইটা
রিসার্চ এর মধ্যে পরে যা ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বিস্তারিত আলোচনা করিনি।
এখন ঐটার বিস্তারিত আলোচনা করবো কিভাবে ভিডিও দেখে আইডিয়া নিবেন।
প্রথমে
আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিন। প্রথম চার,পাঁচটা ইউটিউব ভিডিও দেখুন। এইগুলোর কোয়ালিটি দেখুন।
কিভাবে
ইডিটিং করা হয়েছে,ভয়েস কোয়ালিটি কেমন,মিক্সিং করা হয়েছে কেমন, সূচনা কিভাবে হলো, শেষটা
কিভাবে হলো ইত্যাদী ইত্যাদী।
তো
এইগুলো দেখে নোট করুন। সবগুলো এনালাইস করুন। এইবার আপনি প্রত্যেকটা বিষয় তাদের ভিডিও
থেকে ভালো বা উন্নত করার চেষ্টা করুন।
এর
ফলে আপনি আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি উন্নত করতে পারবেন। তাই ইউটিউব ভিডিও দেখুন আইডিয়া নিন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরির সফ্টওয়্যার এবং যন্ত্রপাতি
ইউটিউব ভিডিও বানানোর
যন্ত্রপাতির মধ্যে
কয়েকটি বেসিক হচ্ছেঃ ক্যামেরা, ভয়েস রেকর্ডার, একটি কম্পিউটার এবং একটি ঘর। ইতি মধ্যে
আমরা ঘর বা ইউটিউব ভিডিও বানানোর পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
আপনার
কাছে যদি ডি.এস.এল.আর ক্যামেরা বা অন্য কোন ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনার ফোনের ক্যামেরা
ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনার মেবাইল ফোনের ক্যামেরা একটু ভালো হয় তাহলে আপনাকে আর আলাদা
ক্যামেরা ব্যবহার করা লাগবে না।
মোবাইল ফোনের ক্যামেরা
দিয়ে সিনেমা বানানোর রেকর্ডও আছে। সেহেতু আপনি চাইলে একটু কষ্ট করে মোবাইল ক্যামেরা
দিয়ে ভালো মানের ভিডিও বানাতে পারবেন। |
ভয়েস রেকর্ডার
ভয়েস রেকর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি এটি ভালো
না হয় তাহলে অধিকাংশ অডিয়েন্স বিরক্ত হয়ে আপনার ভিডিও থেকে বেরিয়ে যাবে।
ফলে আপনার ভিডিওর র্যাঙ্কিং নষ্ট হয়ে
যাবে। তাই ভয়েস রেকর্ড নিয়ে চিন্তা করুন।
অল্প দামের মধ্যে ভালো ভয়েস রেকর্ডার পওয়া যায়। এছাড়া আগেই আপনাকে রাতের বেলায় রেকর্ডের কথা বলেছি। আপনি চাইলে এই পক্রিয়া ব্যবহার করে মোবাইলে রেকর্ডও করতে পারেন। লো বাজেট ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রিক্স।
বেশ কিছু ভালো ভয়েস রেকর্ডার
- ARS Voice Recorder
- Dolby On Voice Recorder
- Audacity
কম্পিউটার
একটি কম্পিউটার তো অবশ্যই লাগবে। আপনাকে ভিডিও এডিটিং,
মিক্সিং এবং আপলোড করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার আপনর কাজকে অনেকটাই সহজ করে দিবে।
মোবাইল দিয়েও ইউটিউবিং
শুরু করতে পারবেন তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। আস্তে আস্তে কষ্ট করুন।
ভালো কিছু আশা করতে পারবেন পরে। |
সফ্টওয়্যার
সফ্টওয়্যার অবশ্যই লাগবে। আপনার ইউটিউব ভিডিও ইডিট
করার জন্য সাউন্ড রেকর্ড এর জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার লাগবে।
আপনি যদি স্ক্রীন রেকর্ড ভিডিও বানান তাহলে আপনাকে
ভিডিও ভয়েস রেকর্ডের জন্য আলাদা কোন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা লাগবে না।
যেমনঃ ক্যামটাশিয়া, এতে আলাদা করে ভয়েস রেকর্ডিং
এর জন্য ফিচার থাকে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সফ্টওয়্যার আছে। এই বিষয়ে ইউটিউবে গিয়ে
সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।
ভিডিও এডিটিং
ভিডিও
এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো সফ্টওয়্যার হবে আ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো। এইটা আ্যাডোবি কোম্পানির সফ্টওয়্যার।
খুব
সহজেই ইউটিউব থেকে আ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো এর ব্যবহার শিখতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি
খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তাছাড়া এর ফিচার গুলোও খুব ফ্রেন্ডলি। প্রোফেশনাল
টাইপের ভিডিও আপনি প্রিমিয়ার প্রো দিয়ে বানাতে পারবেন।
এছাড়াও, ফিলমোরা (Filmora) নামের একটি সফ্টওয়্যার আছে। যারা নতুন তারা এই সফ্টওয়্যারটাও
ব্যবহার করতে পারেন।
এই সফ্টওয়্যারটাও খুব ভালো এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য।
আপনি ইচ্ছে করলে এই সফ্টওয়্যারটাও ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও বানানোর সফ্টওয়্যার গুলো একনজরে
কম্পিউটার সফ্টওয়্যার
- এডবি প্রিমিয়াম প্রো
- এডবি আফ্টার এফেক্ট (ভিডিও পরবর্তী কাজ)
- ফাইনাল কাট প্রো
- এডবি রাশ
- ফিল্মমোরা
- ক্যামতাশিয়া
মোবাইল অ্যাপ্স (সফ্টওয়্যার)
- কাইন মাষ্টার
- ফিল্মমোরা গো
- সিটি প্রো
- ইনশট ভিডিও এডিটর
- মোভাই ভিডিও এডিটর
- এডবি প্রিমিয়াম ক্লিপ
- সাইবার লিঙ্ক একশন ডিরেক্টর
শেষ কথা
তো আজকে এই পর্যন্তই। আশা করি কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো? এই প্রশ্নের
উত্তর এতক্ষনে পেয়ে গেছেন। আশা করি এই ট্রিক্সগুলো আপনার কাজে আসবে। আমি যা উপস্থাপন
করেছি তা আমার জ্ঞান থেকে এবং কিছু রিসার্চ এর উপর ভিত্তি করে। আপনি এই বিষয়ে আরো জানতে
চাইলে ইউটিউব ভিডিও দেখুন। (Youtube Video) সেখান থেকে
ইউটিউব ভিডিও বানানোর আরো সুন্দর সুন্দার উপায় পেয়ে যাবেন।
আপনার কোন বিষয়ের উপর জানার আগ্রহ থাকলে কমেন্টে
লিখতে পারেন যদি সম্ভব হয় তাহলে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আগামীতে আরো ভালো টপিক নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। সেই পর্যন্ত সাথেই থাকুন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আরওপড়ুনঃ 1.
কিভাবে
ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করবেন? 2.
ইউটিউব
ভিডিও দেখুন বিজ্ঞাপন ছাড়া |
Article Credit |
© BlogSpot Help Bangla Written by: Omar Sabbir All right reserved |
apnar post pore khub valo laglo thanks
উত্তরমুছুনhow to stay safe when online shopping
bhalo laglo
উত্তরমুছুনআপনার আর্টিকেল টি পরে খুব ভাল লাগলো ভাই আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে পড়তে পারেন
উত্তরমুছুনmy sister asked me to search about Inexpencive Video Editing Software for her as she wants to start her YouTube channel.
উত্তরমুছুন