সেল্ফ রুকাইয়া কাকে বলে? কিভাবে করবো?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু লেখা করলাম। সাধারনত, নিজেই নিজের জন্য রুকাইয়া করাকে সেল্ফ রুকাইয়া বলে। এই প্রক্রিয়াই, প্রফেশনাল কোন রাক্বী, (যিনি রুকাইয়া করে থাকেন) বিশিষ্ট ওস্তাদ, ও চিকিৎসক ইত্যাদী ব্যাতিত ভালো ভাবেই নিজের রুকাইয়া করতে পারবনে।
বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করি। ধরুন আপনাকে কেউ যাদু করলো অথবা কোন জ্বীন আপনার ক্ষতি করার উদ্দ্যেশে আপনার উপর আসর করলো। সেই ক্ষেত্রে আপনি সেল্ফ রুকাইয়া করে নিজেকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে এই ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করবো আপনি আক্রান্ত হওয়ার আগে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন।
এই একই পর্বে আলোচনা করবো যে আপনি যদি আক্রান্ত হয়েই যান তাহলে কিভাবে নিজেকে বাঁচাবেন। ইনশাআল্লাহ আজকের এই পর্ব থেকে সামান্য হলেও কিছু উপাকার পাবেন। আমরা দুটি অংশে এই আলোচনা শেষ করবো। আলোচ্য বিষয়গুলোঃ
- আক্রান্ত হওয়ার আগে সেল্ফ রুকাইয়া (প্রটেকশন)
- আক্রান্ত হওয়ার পরে সেল্ফ রুকাইয়া (প্রতিরোধ)
আক্রান্ত হওয়ার আগে সেল্ফ রুকাইয়া
আমাদের মধ্যে কেউ ই চাই না যে, কোন বিপদে পড়ি। অথবা আমাদের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, নিজের প্রতিরক্ষা চাই না। আর তাই আমাদের উচিৎ প্রতিদিন সেল্ফ রুকাইয়া করা।
সাধারনত, আপনি যদি প্রতিদিনের আমল (মাসনুন আমল) গুলো করেন তাহলে আপনার আর অতিরিক্ত কিছু করা লাগবে না। আপনি যদি তেমন কোন আমল না যানেন তাহলে পড়াশুনা করে এ বিষয়ে জানুন। তবে কোরআন হলো উত্তম আমল।
আপনি চাইলে প্রতিদিন নামাজের পড়ে কোরআন থেকে কিছু আয়াত পাঠ করতে পারেন তবে সর্বোত্তম হবে যদি সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রত্যেক নামাজের পড়ে পড়তে পারেন।
আমাদের আরও কন্টেন্টঃ
প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা
সেল্ফ রুকাইয়া করার উপকার কি? এর উপকারিতা বুঝতে একটা উদাহরণ দেওয়া যায়। ধরুন আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। (আল্লাহ না করুক) এই ক্ষেত্রে সহজেই যেমন আপনার শরীরে রোগ-অসুখ বাসা বাধতে সাহস পাবে এবং আপনিও সহজেই গুরত্বর অস্বুস্থ্য হয়ে যেতে পারেন।
তেমনি আপনার শরীরে যদি রুকাইয়ার প্রটেকশন না থাকে তাহলে আপনিও খুব সহজেই বদ নজর, জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত এমনকি জাদু টোনার স্বীকার হতে পারেন। তাই আপনি যদি নিয়মিত সেল্ফ রুকাইয়া করতে থাকেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালার রহমতে, আপনি কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না। তখন এটা প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
কিভাবে সেল্ফ রুকাইয়া করবো? (আক্রান্ত হওয়ার আগে)
সাধারণত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যদি আপনি অন্তত পড়েন তাহলে আপনি অনেকাংশেই নিরাপদ থাকবেন। এর পর যদি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পড়ে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান তাহলে সেল্ফ রুকাইয়া হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে আপনি কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না। এর পরে আপনি যদি ঘুমের সময় সূরা ফালাক ও নাস পড়ে ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমান তাহলে সারাদিনের সমস্ত কিছু থেকে পরিত্রান পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
আক্রান্ত হওয়ার পরে সেল্ফ রুকাইয়া
আক্রান্ত হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব কোন বিজ্ঞ আলিম/রাক্বী এর শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ। কিন্তু আপনি যখন জানতে পারবেন যে, আপনি আক্রান্ত হয়েছেন তখন অবশ্য নিজেও রুকাইয়া করবেন।কারন অনেক সময় আক্রান্ত হওয়ার পরেও রাক্বীর শরনাপন্ন হতে দেরী হয়ে যায়। অর্থাৎ সাথে সাথেই আমরা রাক্বীর কাছে যেতে পারি না।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনি সেল্ফ রুকাইয়া করে নিজের আত্মরক্ষা করতে পারবেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরণ তুলে ধরা হলোঃ
বদনজর যদি লেগেই যায়, তাহলে আগে নিশ্চিত হতে হবে কার বদ নজর লেগেছে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে মনে করতে হবে বিগত কিছুদিনের ঘটনা। কার নজর লেগেছে তা ভালোভাবে বুঝতে হবে। যদি আপনি খুঁজতে সক্ষম হোন তাহলে তাকে অজু করতে বলবেন, অথবা হাত ধৌাত করতে বলবেন । এর পরে ঐ পানি আপনি আপনার গায়ে ঢেলে নিবেন।
এর চেয়ে, যে কোন গুরুত্বর ব্যাপার পরিলক্ষিত হলে- অবশ্যই প্রফেশনাল রাক্বী এর শরণাপন্ন হবেন।
আমাদের আরও কন্টেন্টঃ
শেষ কথা
সেল্ফ রুকাইয়া কাকে বলে ও কিভাবে সেল্ফ রুকাইয়া করবেন, সেই সম্পের্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এখান থেকে সামান্য কিছু হলেও উপকার পেয়েছেন। যদি এ বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে তা কমেন্টে করতে পারেন এবং কোন অজানা বিষয় জানার থাকলে আমাদের তথ্য সংগ্রহের সাইট জানতে চাই এ ভিসিট করুন।
ফেসবুকে আমাদের ইসলামিক কন্টেন্ট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজঃ
© BlogSpot Help Bangla
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন