স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখলে কি হয়? (কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে)
স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখলে কি হয়?
স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখলে কি হয়? এ বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ আজকের লিখাটি একটু হলেও আপনার উপকারে আসবে। অথবা এমন কোন তথ্য পাবেন যা হয়তো এর আগে আপনার জানা হয়নি। তো চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
যেহেতু, আমি লিখালিখিতে নিয়মিত না, এবং প্রথমবারের মতো ব্লগস্পট হেল্প বাংলা-তে লেখালেখি করছি তাই আমি এখানে আরো দুইটি বিষয় কভার করার চেষ্টা করবো।
আমরা এই তিনটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো এবং বিশিষ্ট আলেমদের মতামত ব্যাক্ত করবো।সেই সাথে যদি এর পরে আবার লেখালেখি করি তখন অন্যান্য আরো অজানা বিষয় কভার করার চেষ্টা করবো।
স্বপ্ন কি?
বিজ্ঞানের ভাষায় স্বপ্ন বলতে বোঝায় কল্পনা যা আপনি মনে রাখতে পারেন না। অন্যদিকে অতিসাধারন অর্থে ব্যবহৃত স্বপ্নকে ভবিষ্যতের লক্ষ্য বোঝায়। কিন্তু ইসলামে স্বপ্নের একটা বিশেষ গুরুত্ব আছে। বিশেষে করে যখন নবীগণ স্বপ্ন দেখেন তখন সেটা হলো ওহি।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, হযরত ইব্রাহিম আঃ এর স্বপ্ন ওহি ছিলো। পক্ষান্তরে স্বপ্নের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা থাকে। যেমন. হযরত ইউসুফ আঃ সবচেয়ে ভালো স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে পারতেন।
আমাদের সমাজে স্বপ্ন নিয়ে নানন কুসংস্কারও আছে। যেমন অনেক ভন্ডপীর কিচ্ছা কাহিনি বানায় এ নিয়ে। সে সব না হয় পরে আলোচনা করা যাবে।
তবে, আমরা সাধারন মানুষ স্বপ্নে ওহি পায় না। আমাদের স্বপ্নগুলো হলোঃ ভবিষ্যতে ঘটতে যাওয়া কোন বস্তু অথবা সাধারন কল্পনা অথবা অতীতে রেখে আসা কোন স্মৃতি। আবার এমনও হতে পারে আমাদের স্বপ্নগুলো হয়তো কোন রূপক অর্থ বহন করে অথবা কোন উপমা।
আরও পড়ুনঃ
রাসুল (সঃ) এর স্বপ্নের ব্যাপারে মন্তব্য
নবী করিম (সঃ) স্বপ্নের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন
স্বপ্ন তিন প্রকারঃ
- সুসংবাদ মূলক স্বপ্ন
- প্রতারণামূলক স্বপ্ন
- কল্পনা চিত্র।
সুবাহান আল্লাহ! 1400 বছর আগেই কোন রকম প্রযুক্তি বাদেই তিনি এই তথ্য দিয়ে গেছেন।
সুসংবাদ মূলক স্বপ্নঃ
সুসংবাদ মূলক স্বপ্ন সেই গুলো যার মাধ্যমে কোন ভালো কাজের সুচনা, বা ভবিষ্যৎবাণী দেখতে পাওয়া এই স্বপ্নের বৈশিষ্ট।
প্রতারণামূলক স্বপ্নঃ
এ জাতীয় স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে দেখানো হয়। বিশেষ করে যখন ফজরের ওয়াক্ত হয় তখন সে আপনাকে বলতে থাকে তোমার সামনে লম্বা রাত পরে রয়েছে। সুতরাং তুমি ঘুমাও।
কল্পনা চিত্রঃ
এ জাতীয় স্বপ্ন আমাদের সাধারন কল্পনা।
উল্লেখ্যঃ যেই স্বপ্নগুলো ফজরের নামাজের আগে এবং তাহাজ্জুদ ওয়াক্তে দেখা যায় সেগুলোই সাধারনত সেগুলোর কিছু নির্ধারিত অর্থ থাকে। বিশেষত যারা পবিত্র থাকে এবং অজু অবস্থায় নিদ্রাগ্রহণ করেন তারা এমন স্বপ্ন দেখার ভাগ্যলাভ করতে পারেন।
এখন, আমরা মূল আলোচ্য বিষয়টি ব্যাখ্যা করি-
স্বপ্নে মসজিদে নামাজ পড়তে দেখলে কি হয়?
স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখা এই ব্যাখ্যায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। যদি কেউ স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখে তাহলেঃ
- হয়তো সে রোগাক্রান্ত হবে।
- অথবা সে ধর্মের প্রতি উদাসীন হবে।
- অথবা সে আল্লাহর রহমত লাভ করবেন।
আল্লাহ তালায় অধিকজ্ঞাত। আল্লাহ ছাড়া এ বিষয়ে কেউ সর্বাধীক জ্ঞান আর কারো নাই। সুতরাং আলোচনা করা বিষয়গুলো যে, সবই সত্য হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
স্বপ্নে নামাজের ইমামতি করতে দেখলে কি হয়?
স্বপ্নে নামাজের ইমামতি করতে দেখলে হতে পারে হয়তো সেই ব্যাক্তি কোন নেতৃত্ব পাবেন। অথবা খুব শিঘ্রই কোন নেতৃত্বগ্রহণ করতে গেলেও এমন স্বপ্ন সে দেখতে পারে। আল্লাহ তায়ালায় অধিকজ্ঞাত। পুনরায় আমি এ কথারও নিশ্চায়তা দিচ্ছি না। বরং আমার আল্লাহ আমার থেকে বেশি ভালো জানেন।
শেষ কথা
স্বপ্নে নামাজ পড়তে দেখলে কি হয়- পর্বে এই ছিলো আজকের মতো। আশা করি কিছু না নতুন জানতে পেরেছেন। সেই সাথে স্বপ্নে ইমামতি করতে দেখলে এবং স্বপ্নে মসজিদে নামাজ পড়া দেখলে কি হয় সেই সম্পর্কে একটা বিস্তারিত প্রতিবেদন পেয়ে গেছেন। আমি আবারো বলছি যে, 100% নিশ্চায়তা আমি কোনটাতেই দেই নাই। তবে 50%-60% মানুষের সাথে উক্ত ঘটনা ঘটতে পারে। আল্লাহ তায়ালা অধিক জ্ঞাত। এছাড়া অন্য কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে কমেন্ট করুন। খুব শিঘ্রই স্বপ্নের ব্যাখ্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
লিখেছেনঃ মুহাম্মদ আলী
এছাড়া,আমাদের কন্টেন্ট গুলো ফেসবুকে পেতে অথবা এই কন্টেন্ট এর বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে সেখানে অথবা এই কন্টেন্ট এর নিচে করতে পারবেনঃ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন