ইসলাম যখন শক্তি পেল। হযরত ওমর রাঃ ও হযরত হামজা রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ।

ইসলাম কখন শক্তিশালী হলো?

ইসলাম যখন শক্তি পেলঃ ইসলামের রয়েছে বীরত্বময় ইতিহসা, যা ইতিহাসের পাতায় পাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। হযরত আমির হামজা রাঃ এবং হযরত আলী রাঃ এর বদর যুদ্ধের বীরত্ব সবারই জানা আছে। তাছাড়া পরবর্তীতে হযরত খালিদ রাঃ এর ইরাক বিজয় এবং হযরত সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাঃ এর পারস্য বিজয় ইতিহাসে ইসলাম  সকলেরই জানা আছে।

তাছাড়া ইসলামের ইতিহাস  পড়লে এও জানতে পারবেন যে, মক্কার ১৩ বছরে কোন ধরনের যুদ্ধ নবীজী হযরত মুহাম্মদ সঃ করেন নি। কিন্তু মুসলিমদের উপর, নতুন ইসলামগ্রহণ করা সাহাবীদের উপর প্রচুর পরিমানে ‍জুলুম করতো মক্কার কাফেররা।


সূচিপত্র

{tocify}$title={Contents}

হযরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ

মক্কায় কাফেররা নতুন ইসলাম গ্রহণ করা সাবাহীদের খুব নির্যাতন এবং যুলুম নিপীড়ন করতো। অসহনীয় এবং অত্যাচারের মাধ্যমে মুসলমানদের অতিষ্ট করে তুলেছিলো। একদিন পাপিষ্ট আবু জেহেল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে আঘাত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত হন।

নবীজীর আপন চাচা ছিলেন হযরত হামজা রাঃ। এছাড়াও কুরাইশদের মধ্যে যে কজন বীর পুরুষ ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি একজন। কুস্তি, যুদ্ধ বিদ্যায় তিনি ছিলেন একজন অনুরাগী মানুষ। তিনি সিংহ শিকার করতে জানতেন। তিনি ছিলেন খুবই শক্তিশালী একজন পুরুষ।

একদিন তিনি সিংহ শিকার করে ফিরছেন এমতাবস্থায় কেউ একজন তাকে জানালেন যে, আপনার ভাতিজা হযরত মুহাম্মদ সঃ কে আবু জাহেল রক্তাক্ত করেছে।

হযরত হমজা রাঃ এই কথা শুনে রেগে গেলেন। এবং তিনি সোজা চলে গেলেন  আবু জাহেলের কাছে। আবু জাহেল তখন কাবা ঘরের পাশে বন্ধুদের সাথে ছিলেন। আগেই বলেছি হামজা রাঃ ছিলেন অকুতোভয় যোদ্ধা। আর তাই তিনি কাউকে ভয় করতেন না। তিনি আবু জেহেল কে আঘাত করলেন। (কোন বর্ণনায় আছে তিনি রক্তাক্ত হয়েছিলেন এবং কোন বর্ণানায় আছে শুধু আঘাতের কথা।)

এর পরে তিনি হযরত মুহাম্মদ সঃ এর কাছে গেলেন এবং বল্লেন এতদিন আমি আপনাকে আত্মীয়তার কারনে রক্ষা করতাম। এখন থেকে রক্ষা করবো ধর্মীয় কারনে। এর পরেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ঐদিন ইসলামের ইতিহাসে এই বীরত্বগাথার গল্প শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ

হযরত ওমর রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ

হযরত ওমর রাঃ দেখলেন পুরো মক্কা জুরে ভয়ঙ্কর অবস্থা। মক্কায় যেই ১৭-১৯ জন মানুষ পড়া লেখা করতে জানতেন তার মধ্যে হযরত ওমর রাঃ ছিলেন অন্যতম। তিনি ভাবলেন হযরত মুহাম্মদ সঃ কে হত্যা করলেই হয়তো এই সমস্যার সমাধান বের হবে। 

তিনি ঠিক করেই রেখেছিলেন যে, যদি তিনি নবী কে হত্যা করতে পারেন তাহলে তিনি নিজেকে কুরাইশদের বনু হাশিমের কাছে সপে দেবেন। কারন বনু হাশেম ছিলো নবীর গোত্র এবং হত্যার অপরাধে হত্যাকারীকে হত্যা করা ছিলো আরবের আইন।

কিন্তু তিনি হত্যা করতে পারলেন না। তার বোন ফাতিমা ও বোন জামাই ইসলাম গ্রহণ করেছে শুনে তিনি সেখানে যান। এবং আল্লাহ তায়ালা এখান থেকেই তার পরিবর্তন ঘটায়। এবং এর পরে তিনি নবীর কাছে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এছাড়াও হযরত মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করেছিলেন।
 
আরও পড়ুনঃ

ইসলাম কখন শক্তি পেল?

হযরত ওমর রাঃ হযরত হামজা রাঃ দুইজন বীর পুরুষ ইসলাম গ্রহণ করার পরে ইসলাম শক্তি পেল।পরবর্তীতে তারা  ‍মুসলিমরা কাবা ঘরের সামনে প্রকাশ্যে নামাজ পড়তে শুরু করে।এর মাধ্যমেই ইসলামের মধ্যে শক্তি প্রকাশ পায়

কিন্তু হিজরত করার আগ পর্যন্ত নিরীহ মুসলিমদের উপর অন্যায় অত্যাচার চলতেই থাকে। অনেককে হিজরতের আগেই শহীদ করা হয় এবং অনেক সাহাবীকে হিজরত করতেই দেওয়া হয়নি। সর্বপরি সাহাবীদের জীবনের উৎসর্গের মাধ্যমে আমরা দ্বীন ইসলাম পেয়েছি। আল্লাহ সকলকে জান্নাত দান করুক, আমীন।

ইতিহাসে ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র, ইসলামের ইতিহাস বাংলা, আদ জাতির উচ্চতা, বাংলাদেশে ইসলাম pdf, বাংলাদেশে ইসলাম বই, ইসলামের ইতিহাস জনক কে, ইসলামের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর, ইসলাম যখন শক্তিশালী হলো, হযরত ওমর রাঃ ইসলাম গ্রহন, হযরত হামজা রাঃ এর ইসলাম গ্রহন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

google console - How to work in this feature?

মুমিন ব্যাক্তির তিনটি রোগ যা জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম করে দেই। যে তিনটি রোগ আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত। Islamic Study Bangla.

রুকাইয়া করার নিয়ম - (কোরআন ও সুন্নাহের আলোকে)