নবীজি ৬৩ বছর বাঁচবেন আগেই নির্ধারিত ছিলো। বিস্তারিত দেখুন। Islamic study.
নবীজি ৬৩ বছর বাঁচবেন আগেই নির্ধারিত ছিলো
হযরত মুহাম্মদ সঃ পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন ৬৩ বছর। আর এটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন ৪০ বছর বয়সে । নবুয়ত প্রাপ্তির পর প্রথম ১৩ বছর তিনি মক্কায় অবস্থান করেন এবং পরের ১০ বছর মদিনায় হিজরত করে সেখানে অবস্থান করেন।
নবিজীর জীবন এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন তার পরের ১৩ বছর মাক্কি জীবন এবং তার পরের ১০ বছর মদিনায় থাকলেন। মোট ৬৩ বছর।
পবিত্র কুরআনে একটি নবীর নামে একটি সূরা আছে। সূরাটির নাম সূরা মুহাম্মদ। সূরাটির আয়াত সংখ্যা ৩৮ টি।
নবীজির মৃত্যুর কথা আল্লাহতায়ালা স্বরণ করিয়ে দিয়েছেন মোট তিনটি আয়াতের মাধ্যমে। ৪০ নং সূরাঃ- সূরা আল-মুমিনের৭৭ নং আয়াত, ১৩ নং সূরাঃ- সূরা রাদ এর ৪০ নং আয়াত, এবং সর্বশেষ ১০ নং সূরাঃ- সূরা ইউনুস এর ৪৬ নং আয়াতে।
এইবার অঙ্কটা দেখি---
যেই যেই সূরাতে আল্লাহ তায়ালা নবীজির মৃত্যুর কথা স্বরন করিয়ে দিয়েছেন সেইগুলো হলোঃ ৪০ নং সূরা, ১৩ নং সূরা এবং ১০ নং সূরা।
এই সূরা সংখ্যা গুলো যোগ করলে দেখা যায় ৪০+১৩+১০ = ৬৩।
আর আমরা সবাই জানি নবী করিম সঃ এর বয়স ছিলো ৬৩ বছর। আর এই সূরা গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা অন্তত রাসুলের মৃত্যুর ১৫ বছর পূর্বে। (আল্লাহু আকবার)
দেখুন কত সুন্দর ভাবে এবং যৌক্তিক ভাবে আল-কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন।
এবার আসুন আরেকটি হিসাব দেখা যাক। যেই যেই সূরার আয়াতে নবীজি সাঃ এর কথা বলা হয়েছে সেই আয়াতগুলো যদি যোগ করা হয় অর্থাৎ প্রথমে ৭৭ নং আয়াত, ৪০ নং আয়াত এবং ৪৬ নং আয়াত সংখ্যা যোগ করলে দেখা যায়ঃ ৭৭+৪০+৪৬= ১৬৩।
আমরা যারা মৌলিক সংখ্যা জানি তাদের মতে ১৬৩ হলো ৩৮ তম মৌলিক সংখ্যা। আর ৩৮ হলো সূরা মুহাম্মাদ এর আয়াত সংখ্যা। (আল্লাহুআকবার)
এতো সূরা থাকতে এটি কেন সূরা মুহাম্মাদের সাথে মিলে? এই সূরার আয়াত সংখ্য আমরা এভাবে পেয়ে যাই।
পবিত্র কুরআনের যে জায়গায় নবীজির মৃত্যুর কথা স্বরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি হচ্ছে ১০ নং সূরার ৪৬ নং আয়াত। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এই আয়াতে মোট অক্ষরের সংখ্যাও হলো ৬৩টি। আর আমরা জানি নবীজি সঃ হায়াৎ পেয়েছিলেন ৬৩ বছর। পবিত্র কুরআনের যেই জায়গায় নবী করীম সঃ এর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে যেই আয়াতটিতে সেটাও ৬৩টি অক্ষর দিয়ে গঠন করা হয়েছে।
কি নিখুত গানিতিক মিরাকেল। এমন নিখুত ম্যাথমেটিক্যালি এবং সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এরকম একটি গ্রন্থ একমাত্র আল্লাহ ব্যাতিত আর কেউ সৃষ্টি করতে পারেন। আল্লাহুআকবার।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন